মানব কল্যানে ঔষধ রসায়নের গুরুত্ব অপরিসীম । সাধারনত মানব রোগের চিকিৎসা দুই ধরনের । যথা : সার্জিক্যাল (Surgical) ও মেডিক্যাল
(Medical) । সার্জিক্যাল পদ্ধতি
সময়সাপেক্ষ, কষ্টসাধ্য
ও ব্যয়বহুল বলে অল্পসংখ্যক ধনী লোক বা উন্নত দেশসমূহের লোকদের জন্য উপযোগী । অন্যদিকে, মেডিক্যাল চিকিৎসা ড্রাগ বা ঔষধ দ্রব্যের উপর নির্ভরশীল বলে
অল্প সময়ে অপেক্ষাকৃত কম খরচে সম্ভব । এ চিকিৎসা ধনী-গরীব, উন্নত-অনুন্নত বিশ্বের সবার জন্য প্রযোজ্য । জনস্বাস্থের জন্য
উপকারী কোন ড্রাগ আবিষ্কৃত হলে তা সমগ্র মানবজাতির জন্য মঙ্ঙ্গল বয়ে আনে ।
আলেকজান্ডার ফ্লেমিং কর্তৃক আবিষ্কৃত পেনিসিলিন সংক্রামক রোগ-জীবাণুর হাত থেকে অগনিত মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে । পেনিসিলিন আবিষ্কার পূর্বকালীন সময়ে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত মস্তিষ্ক ঝিল্লির প্রদাহ (Meningitis) ছিল মৃত্যুর পরোয়ানা মাত্র । নীরব ঘাতক রূপে উচ্চ রক্তচাপ হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ (heart attack) অথবা স্ট্রোক (stroke) সৃষ্টি করে । ড্রাগ ব্যবহারের ফলে উচ্চ রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব ।
আলেকজান্ডার ফ্লেমিং কর্তৃক আবিষ্কৃত পেনিসিলিন সংক্রামক রোগ-জীবাণুর হাত থেকে অগনিত মানুষের জীবন বাঁচিয়েছে । পেনিসিলিন আবিষ্কার পূর্বকালীন সময়ে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত মস্তিষ্ক ঝিল্লির প্রদাহ (Meningitis) ছিল মৃত্যুর পরোয়ানা মাত্র । নীরব ঘাতক রূপে উচ্চ রক্তচাপ হৃৎযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ (heart attack) অথবা স্ট্রোক (stroke) সৃষ্টি করে । ড্রাগ ব্যবহারের ফলে উচ্চ রক্তচাপ অনেকটাই নিয়ন্ত্রনে রাখা সম্ভব ।
সামান্য পরিমান ড্রাগ অনুর প্রয়োগ ছোট শিশু থেকে শুরু করে
শতবর্ষের বৃদ্ধের মারাত্মক রোগের তীব্র যন্ত্রনা লাঘব করে । এ্যজমার কারনে শ্বাস নিতে না পারা শিশুর মুখে হাসি ফোটায়
শুধুমাত্র ১০০ মাইক্রোগ্রাম সালবিউটামল সালফেট ইনহেলেশনের মাধ্যমে । মাত্র ২ মিলিগ্রাম লোরাজেপাম (lorazepam) নামক
ড্রাগ শিরায় প্রয়োগ করে দেহের কাটা-ক্ষত বা শল্য চিকিৎসা নিয়ন্ত্রনে রাখা যায় । বুকে তীব্র যন্ত্রনায় কাতর বৃদ্ধকে মাত্র ৮-১০ মিলিগ্রাম মরফিন ড্রাগ দেয়া হলে যন্ত্রনা লাঘব হয় । এসব আলোচনা থেকে বলা যায় যে ঔষধ দ্রব্য বা ড্রাগ হলো
আশ্চর্যজনক অনু ।
এ পর্যন্ত অসংখ্য ঔষধ দ্রব্য বা ড্রাগ আবিষ্কৃত হয়েছে । আরও নতুন নতুন ঔষধ দ্রব্য আবিষ্কারের জন্য মেডিসিনাল
রসায়নবিদগন নিরলস চেষ্টা অব্যহত রেখেছেন । একটি নতুন সফল
ড্রাগের সঠিক ও পরিকল্পিত প্রয়োগ লক্ষ কোটি বিশ্ববাসীর রোগ নিরাময়ে অবদান রাখে । এভাবেই রসায়নের গুরুত্বপূর্ন এ শাখা তথা মেডিসিনাল
কেমিস্ট্রি মানব কল্যানে ভূমিকা পালন করে ।
[সূত্রঃ মেডিসিনাল কেমিস্ট্রি, পৃষ্ঠা নং-১৭]
No comments:
Post a Comment